পোস্টগুলি

ফটিকছড়িতে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইসলামিক ফ্রন্ট প্রার্থী এডভোকেট সেলিম

ছবি
ফটিকছড়ি(চট্টগ্রাম-২) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এড.মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম। -------------------- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে, বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় #চট্টগ্রাম_২_ফটিকছড়ি আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মনোনিত প্রার্থী এডভোকেট মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম প্রতিদিন তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিতায় আজ বৃহঃপতিবার উপজেলার নাজিরহাট বাজারে বিশাল গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলার ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রসেনার নেতৃবৃন্দ এবং ফটিকছড়ি জনসাধারণ।

হাইকোর্ট মাজার: হযরত খাজা শরফুদ্দিন চিশতী(রাহঃ) এঁর জীবনী

ছবি
চেপে যাওয়া ইতিহাস:ঢাকা সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন হযরত খাজা শরফুদ্দিন চিশতী (রাহঃ) ওরফে বাবা ওলি বাংলা - গোলাম হাসনাইন আসাদুজ্জামান। ****************************** <script data-ad-client="pub- 9650517707103584" async src=" https://pagead2. googlesyndication.com/ pagead/js/adsbygoogle.js "></ script> হাইকোর্ট মাজার শরীফ আলহামদুলিল্লাহ, ২০১৮সালের শেষের দিকে এসে ইসলামের মহান সাধক হযরত খাজা শরফুদ্দিন চিশতী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)এর মাজার শরীফ জিয়ারতে ধন্য হতে পেরেছি এটা আমার জন্য বড়ই খোশ নসীব। ঢাকা সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন এই মহান সাধকের মাজার শরীফটি সুপরিচিত হলেও,  বাংলার রাজধানীতে এই মহান সাধকের ইসলাম প্রচারের ইতিহাস অনেকেরই অজানা রয়েছে। একদিকে ওলি বিদ্ধেষী মুসলিম নামধারীদের অপপ্রচার, অন্যদিকে নাস্তিকদের গভীর ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে এই মাজার শরীফ ও ছাহেবে মাজারের গৌরবমণ্ডিত ইতিহাস অপ্রকাশিত। অথচ এই ইতিহাসকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার প্রসারের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ। ১অক্টোবর ২০১৮এই মাজারে পাক প্রথম জিয়ারত করার সুযোগ হলেও তখনো অজানা ছিলো প্রকৃত ইতিহাস। মাজার শর...

শাহ্ সুলতান রুমী (রহ:) এঁর জীবনী

 শাহ্ সুলতান রুমী (রঃ) একজন সুফি দরবেশ। তাঁর দরগাহ নেত্রকোণা জেলার মদনপুরে অবস্থিত। প্রায় একশ বছর আগে সংগৃহীত এই অঞ্চলের একটি লোককাহিনী থেকে বাংলায় তাঁর জীবন ও কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যায়। কাহিনী অনুসারে রুমী যখন এখানে এসে স্থিত হন তখন নেত্রকোণা এলাকা জনৈক কোচ রাজার শাসনাধীন ছিল। দরবেশ ও তাঁর অনুসারিগণ ছাড়া সে সময়ে ওই অঞ্চলে আর কোন মুসলমান ছিল না। কিন্তু দরবেশের বসতি স্থাপনের পর পরই তাঁর ধার্মিকতা বিপুল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে। বলা হয় যে, কোন লোক তাঁর সাহচর্যে আসলেই তাঁর অলৌকিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে একান্ত ভক্ত-অনুসারী হয়ে পড়ত। রাজার নিকট যখন এ খবর পৌঁছায় তখন তিনি দরবেশকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর কাজকর্ম ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। দরবেশ জানালেন আল্লাহ তাঁকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বলীয়ান করেছেন। রাজার আদেশে দরবেশকে বিষ পরিবেশন করা হয়। তিনি বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নামে) বলে তা পান করেন। রাজা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে, দরবেশের কিছুই হয় নি, বরং তিনি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত রয়েছেন। এতে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত সকল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং রাজা মদনপুর গ্রাম দরবেশকে নিষ্কর দান করেন। ...

শেখ আঁখি সিরাজউদ্দীন উসমান (রাহঃ) এঁর জীবনী

শেখ অাঁখি সিরাজউদ্দীন উসমান (রঃ) তেরো শতকের বাংলার বিখ্যাত সুফি-সাধক। শেখ নিজামউদ্দীন আউলিয়া (রঃ)-এর শিষ্য অাঁখি সিরাজ শেখ ফখরুদ্দীন জাররাদীর সঙ্গে ইসলামি শাস্ত্রসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে শিক্ষা করেন। মওলানা রকনুদ্দীনের একজন ছাত্র হিসেবে তিনি কাফিয়াত, কুদুরি, মুফাসসল এবং মাজমা-উল-বাহরাইন শিক্ষা করেন এবং একজন সুদক্ষ পন্ডিতে পরিণত হন। শেখ নিজামউদ্দীন আউলিয়া তাঁকে খিলাফত (আধ্যাত্মিক প্রতিনিধিত্ব) প্রদান করেন এবং তাঁকে আয়না-ই-হিন্দুস্থান (হিন্দুস্থানের আয়না) বলে অভিহিত করতেন। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুর মৃত্যুর পর অাঁখি সিরাজউদ্দীন বাংলায় চলে আসেন এবং রাজধানী শহর গৌড় ও পান্ডুয়ায় ধর্মীয় প্রচারকার্য শুরু করেন। তিনি ছিলেন বাংলায় চিশতিয়া তরিকার (আরাধনার পথ) প্রতিষ্ঠাতা। পান্ডুয়ার শেখ আলাউল হক (রঃ) ছিলেন তাঁর প্রধান শিষ্য। কথিত আছে যে, শেখ অাঁখি শেখ নিজামউদ্দীন আউলিয়ার কাছ থেকে গৃহীত পোশাক গৌড়ের সাগর দিঘির উত্তর-পশ্চিম কোণায় এক স্থানে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলেন। তাঁর ইচ্ছামতো তাঁকে তাঁর পোশাকের প্রোথিত স্থানের কাছে সমাহিত করা হয়েছিল। তাঁর কবরের উপর একটি সমাধিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছিল।...

হযরত শাহ্ মখদুম রূপস (রাহঃ) এঁর জীবনী

শাহ মখদুম রূপস (রঃ) চৌদ্দ শতকের একজন মুসলিম দরবেশ, যিনি বরেন্দ্র অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। ‘মখদুম’ অর্থ ধর্মীয় নেতা এবং ‘রূপস’ অর্থ আচ্ছাদিত। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম ছিল আব্দুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন। তিনি ছিলেন হজরত আব্দুল কাদের জিলানীর (রঃ) পৌত্র আজলা শাহের পুত্র। ৬৮৫ হিজরিতে (১২৮৬ খ্রিস্টাব্দে) তিনি তাঁর বড় ভাই সৈয়দ আহমদ ওরফে মীরন শাহকে নিয়ে বাগদাদ হতে এখানে আসেন। মীরন শাহ লক্ষ্মীপুর জেলার কাঞ্চনপুরে এবং মখদুম শাহ কাঞ্চনপুরের সন্নিকটে শ্যামপুরে স্ব স্ব খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি তাঁর সঙ্গী সৈয়দ শাহ আববাস, সৈয়দ দিলাল বোখারী, শাহ সুলতান এবং শাহ করম আলীকে নিয়ে বাঘায় চলে যান (রাজশাহী জেলার চারঘাট থানায়)। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে চিশতিয়া তরিকার একটি উপদলের দরবেশদের মতো তিনি তাঁর মুখমন্ডল একটুকরা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতেন এবং এজন্য তাঁকে রূপস বলা হতো। শীঘ্রই তাঁর আবাসস্থল বাঘার নামকররণ করা হয় মখদুমনগর। ৬৮৭ হিজরিতে (১২৮৮ খ্রিস্টাব্দে) শাহ মখদুম রূপস বাঘা হতে রামপুর বোয়ালিয়ায় চলে আসেন। এখানে তাঁর আগমনের সাথে অনেক অলীক কাহিনী এবং তাঁর কারামত সম্পর্কে অনেক কিংবদন্ত...

হযরত শাহ্ পরাণ (রাহঃ) এঁর জীবনী

ছবি
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মহিমায় পাক-ভারত বাংলাদেশ তথা সিলেটের আনাচে-কানাচে ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসার লাভ করেছে তাদের মধ্যে হযরত শাহপরাণ (রহঃ) ছিলেন অন্যতম। সুলতানুল বাংলা বিশ্ব বরেণ্য ওলী হযরত শাহজালাল (রহঃ)’র পরেই তার খ্যাতি। যে সকল ওলী আউয়ালিয়াগণ ইলমে মারেফাতের কুতুব মিনারে আরোহন করার খোশ নসীব হাসিল করেছেন তাদের মধ্যে হযরত শাহ পরাণ (রহঃ) ছিলেন অন্যতম। মহান দরবেশ হযরত শাহপরাণ (রহঃ)’র জীবন বৃত্তান্ত সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা না গেলে ও যতটুকু জানা যায়, হযরত শাহপরাণ (রহঃ) ছিলেন হযরত শাহজালাল (রহঃ) ’র ভাগ্না। তাঁর পূর্ব পুরুষগণ বোখারার অধিবাসী। হযরত শাহপরাণ (রহঃ) ’র ঊর্ধ্বতন চতুর্থ পুরুষ জালাল উদ্দিন ( রহ : ) বোখারা হতে এসে প্রথমে সমরকন্দে এবং পরবর্তীতে তুর্কীস্থানে বসবাস করেন। হযরত শাহপরাণ (রহঃ) ’র পিতা একজন শীর্ষ স্থানীয় আলেম ও খুব উচ্চ স্তরেরর বুজর্গ ছিলেন। সে সময় তদাঞ্চলে তার মত কামেল বুজর্গ ব্যক্তি খুব কমই ছিলেন। তার মাতা ও ছিলেন একজন ধর্ম পরায়না নেককার মহিলা। তাহার গুণের অভাব ছিল না। অতি উন্নতি চরিত্রের অধিকারনী ছিলেন তিনি। হযরত শাহ পরাণের জীবনে সি...

শহর কুতুব হযরত আমানত শাহ (রাহঃ) এঁর জীবনী

ছবি
১৩৪০ খ্রীষ্টাব্দে সোনার গাঁওয়ের স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দীন মোবারক শাহর সেনাপতি কদলখান গাজির সহায়তায় পীর বদরুদ্দীন আল্লামা তাঁর সহচরদের নিয়ে মগদস্যুদের পরাস্ত করে চট্টগ্রাম জয় করলে এখানে ইসলামী শাসনের সূচনা হয়। খ্যাতনামা বারোজন সূফীসাধক ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। চট্টগ্রামস্থ সীতাকুণ্ড থানার সোনাইছড়ি অঞ্চলে যা পরবর্তীকালে বার আউলিয়া নামে সর্বত্র প্রচারিত ও প্রকাশিত তথায় তাঁদের আস্তানা দৃষ্ট হয়। বাংলাদেশের মুর্শিদাবাদ, জাহাঙ্গীর নগর ও ইসলামাবাদ মুঘল আমলের শেষের দিকে সূফীদের আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র হিসাবে ব্যাপক প্রসার লাভ করে। হযরত শাহ সূফী বখতেয়ার মাহি সওয়ার (র.) প্রমুখ আরবীয় সূফী ঐ সময় চট্টগ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাই চট্টগ্রাম সূফী সাধকদের প্রবেশদ্বার রূপে চিরকাল চিহ্নিত হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম পাহাড় পর্বত ঘেরা নির্জন পরিবেশ মন্ডিত এলাকা। চট্টগ্রামের এই প্রকৃতি পরিবেশ যেন রাব্বুল আলামীন শুধু সূফীদের আত্মিক ক্রিয়াকলাপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করেছেন। তাই চট্টগ্রামের সাথে সূফী সাধকদের চমৎকার আধ্যাত্মিক ও জাগতিক যোগাযোগ লক্ষ্যনীয়। কোন এক সময় কাদেরীয়া তরীকার...

গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর জীবনী

ছবি
প্রধান মেনু খুলুন সৈয়দ  আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী , ( ইংরেজি : Syed Ahmed Ullah Maizbhanderi ) বা   সৈয়দ আহমদ উল্লাহ   (১৫ জানুয়ারি ১৮২৬ - ২৩ জানুয়ারি ১৯০৬) হলেন একজন   সুফি   সাধক ও মাইজভান্ডারী তরীকার [১]   প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তার অনুসারীগণ যে সকল প্রচার-প্রকাশনা   বাংলা ,   আরবি ,   উর্দু   এবং   ইংরেজি   সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ / (কঃ) লিখতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাঁই-এ-লিল্লাহ্ প্রভৃতি উপনামেও পরিচিত। [২] [৩] [৪] [৫] [৬] সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর মাজার,  ফটিকছড়ি ,  চট্টগ্রাম ,  বাংলাদেশ জন্ম আহমদ উল্লাহ আনু.  ১৪ জানুয়ারি ১৮২৬ ফটিকছড়ি ,  চট্টগ্রাম ,  বাংলাদেশ মৃত্যু ২৩ জানুয়ারি ১৯০৬ (৮০ বছর) ...